মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৩

ছড়া-১৬

ঘরকুনো ব্যাঙ হঠাৎ লাফায়
বড্ড করে রাগ।
এদিক তাকায় ওদিক তাকায়
পিটায় জোরে ঢাক।

কে বলেছে কে বলছে
বেজায় অলস তিনি।
ঘুমান কেবল দিনে রাতে
শান্তি নিলয় কিনি।

পদ্ম পাতার ছাদে চড়ে
দেখেন তিনি কে?
মাছরাঙ্গা কে ঢেল ছুড়েছে
বিরাট পাপী সে।

পানকৌড়ি টি মাছ ধরেছে
দোষ তো তাতে নেই
বেজায় রেগে বকছে তিনি
মাছের রাজা কেই।

বকটি ছিলো সহজ সরল
সফেদ সুরত তার।
দেখেন তিনি মুচকি হেসে
আহার চমৎকার।

রুই-কাতলা বড়ই পাঁজি
দোলায় কেন জল?
দেখবে না সে অবোধ জনে
ক্ষুদ্র কি দুর্বল!


রবিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৩

ছড়া-১৫

ও বুড়ি তোর জন্মদিনে করছি আশীর্বাদ
হাজার বছর থাক বেঁচে তুই; এমন করি স্বাদ!
কষ্ট কভুও না ছুঁক তোকে, আসলে কভু ভয়
পারিস যেন ভয়কে ঠেলে আনতে কেড়ে জয়।
রুক্ষতাকে দুঃখ করে হারাস না তোর মন
কাদিসনা কেউ পথ হারালে কাছের কোন জন।
যাক ভুলে কেউ নিজের মত আপন মনের ভুলে
মনের কোণে যতন করে রাখিস কেবল তুলে।
পারলে তারে করিস ক্ষমা মন খুলে দিস বর
ভাবিস না তুই সব হারালি করিস না ধড়ফড়।
সুখ বলে যা পরের সুখে নিজের সুখে নয়
ও বুড়ি তুই সুখেই থাকিস কষ্ট করে জয়।

বুধবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৩

ছড়া-১৪

কেদনা'ক বালি মাস চৈতালি একটু হেস
খাখা রোদ্দুর কাক ডাকা ভোর একটু হেস।
সোনার খুনি আদুরে মুনি ময়না আমার
গোলাপ কলি রঙের তুলি আলোক তারার।
সোহাগী টিয়ে বকুল দিয়ে গড়াব মালা
মামুনি আমার হেস একবার পল্লী বালা।
চেয়ে দেখ ঐ করে হৈ চৈ শিশুদের দল
সোনামুনি মা পুতুলের ছা মুছে ফেল জল।