ভুতের মা কে লাগছে কেমন
ভুতের মায়ের মত
গাধা ফুলে ভুত চড়েছে
জ্যান্ত ভুতে যত।
ও ভুতের মা চেতিস কেন
করিস কেন রাগ
ভুত দেখে যে ভয় পেয়েছি
ভুতের বাপকে ডাক।
নালিস দিব বলে কয়ে
শালিস দিব কাল
ভুতের বাপের বিচার হবে
পাড়বে সবাই গাল।
বি দ্রঃ ছড়াটির ভুতের মা পাশের ছবিটির মেয়ে।
শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২
ছড়া-১২
একটি চাঁদের একটি আকাশ
অনেকগুলো তারা
দেখছি মনের দুয়ার খুলে
পুলক বাঁধনহারা।
একলা আমি দৃষ্টি মেলে
পুবের আকাশ কোণে
নিশির আলো শিশির দিয়ে
জাগায় দোলা মনে।
হাওয়ার সনে মনের কথা
বলছি চুপি চুপি
হরেক ফুলের সুবাস মনে
লাগছে বহুরূপী।
শীতের ছায়া আবেশ লাগায়
হালকা হিমেল গায়ে
মহানন্দার ওপাড় যেতে
ঝাপটা দিলে নায়ে।
অনেকগুলো তারা
দেখছি মনের দুয়ার খুলে
পুলক বাঁধনহারা।
একলা আমি দৃষ্টি মেলে
পুবের আকাশ কোণে
নিশির আলো শিশির দিয়ে
জাগায় দোলা মনে।
হাওয়ার সনে মনের কথা
বলছি চুপি চুপি
হরেক ফুলের সুবাস মনে
লাগছে বহুরূপী।
শীতের ছায়া আবেশ লাগায়
হালকা হিমেল গায়ে
মহানন্দার ওপাড় যেতে
ঝাপটা দিলে নায়ে।
মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১২
ছড়া-১১
আইসক্রীম আইসক্রীম ঠান্ডা বড়ই তুই
সর্দি কাশি জ্বর হয়েছে কেমনে তোরে ছুঁই?
বড়ই খেতে ইচ্ছে করে নেই'ক হাতে কড়ি
সদায় সদায় দাদার কাছে টাকার বাইনা ধরি।
আম্মু কেন বেজাই রাগি- যায় না তারে বলা
আব্বু শুনে রাগ করে না- দেয় শুধু কান মলা।
আপি আমার ভীষণ ভালো মিষ্টি করে হাসে
সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে তোমায় নিয়ে আসে।
বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২
ছড়া-১০
বাচ্চা তোমার নাম কি
একলা কেন বসে?
বয়স কত? দশ কি বার-
দেখলে হিসেব কষে!
লক্ষী সোনা আব্বু কোথায়
আম্মু কি নাই ঘরে?
আহা! একি!! ভয় পেয়েছ
কাঁপছ কেন ডরে?
কে বকেছে ঘর ছেড়ে তাই
ঘুরছ একা পথে?
ঘরকে চলো সবাই এখন
কাঁদছে ভীষণ বটে।
ছড়া-৯
ঘুম যাও ঘুম পরী
ঘুম বুড়ি এসে
আমার সোনার চোখে
ঘুম দেও ঠেসে।
নরম বিছানা দিব
তুল তুলে গদি
ছায়া ঘেরা ঘর দিব
ঘুম যাও যদি।
মায়ের কোমল হাতে
আঁখি দিব টেনে
চাও যদি দিব আরো
ফুল কুঁড়ি এনে।
ফুলের বিছানা দিব
চাঁদ থেকে আলো
আমার সোনার চোখে
ঘুম হোক ভালো।
ঘুম বুড়ি এসে
আমার সোনার চোখে
ঘুম দেও ঠেসে।
নরম বিছানা দিব
তুল তুলে গদি
ছায়া ঘেরা ঘর দিব
ঘুম যাও যদি।
মায়ের কোমল হাতে
আঁখি দিব টেনে
চাও যদি দিব আরো
ফুল কুঁড়ি এনে।
ফুলের বিছানা দিব
চাঁদ থেকে আলো
আমার সোনার চোখে
ঘুম হোক ভালো।
মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২
ছড়া-৮
আব্বু বল রব কে আমার
আম্মু বল বব কে?
কোন সে মালিক- সবার মালিক
করছে পালন সব কে।
কে সে আমায় জীবন দিল
কোথায় ছিলাম আমি?
তোমার বুকের মানিক হয়ে
এলাম কোথায় নামি?
চাঁদ কে উঠান রাত্রি হলে
আধাঁর এলে ঘনে
আব্বু বল সূর্য্যি তখন
পালায় কোথায় বনে?
রাত্রি গেলে আবার তারে
কে সে আনেন ফিরে?
কোন সে মালিক- সবার মালিক
থাকেন কোথায় ভীড়ে?
কে সে মালিক পক্ষীরা যার
করছে গুনগান
নদের মালিক নদীর মালিক
কার সে কলোতান?
আমায় বল কে সে মালিক
হয় না যাহার ভুল
কোন সে মালিক- সবার মালিক
ফুটান যিনি ফুল?
সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২
ছড়া-৭
আয় প্রিয়তি চাঁদ দেখে যা
তাল-পুকুরের ফাঁকে
রোজ সাঁঝেতে যেথায় বসে
হুতুম পেঁচা ডাকে।
শিমুল ডালের আড়াল হলে
হারিয়ে যাবে আলো
আঁধার ঘনে আসলে তখন
লাগবে বেজায় কালো।
কদম ফুলের সুবাস নিবি
জলদি করে আয়
চাঁদের বাড়ি দেখতে যাব
ভাসিয়ে তোরে নায়।
ও পাড় থেকে আনব তুলে
পদ্ম ফুলের কুঁড়ি
বানিয়ে দিব গলার মালা
হাতে দিবার চুঁড়ি।
আনব তোরে ঘরে ফিরে
আঁধার নামার আগে
কাঁদিস না আর আমার সোনা
ফুলিস না আর রাগে।
তাল-পুকুরের ফাঁকে
রোজ সাঁঝেতে যেথায় বসে
হুতুম পেঁচা ডাকে।
শিমুল ডালের আড়াল হলে
হারিয়ে যাবে আলো
আঁধার ঘনে আসলে তখন
লাগবে বেজায় কালো।
কদম ফুলের সুবাস নিবি
জলদি করে আয়
চাঁদের বাড়ি দেখতে যাব
ভাসিয়ে তোরে নায়।
ও পাড় থেকে আনব তুলে
পদ্ম ফুলের কুঁড়ি
বানিয়ে দিব গলার মালা
হাতে দিবার চুঁড়ি।
আনব তোরে ঘরে ফিরে
আঁধার নামার আগে
কাঁদিস না আর আমার সোনা
ফুলিস না আর রাগে।
রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২
ছড়া-৬
আনন্দ তোর কোথায় বাড়ি
কোথায় থাকিস বল
আমার সাথে অমন করে
করিস না আর ছল।
রোজ তোরে যাই খুঁজতে ঘরে
সারা বাড়ির উঠান জুড়ে
আঁধার ঘরে আলোক জ্বালি
কোথায় পাব বল।
চাঁদনি রাতের ঝাপসা আলোয়
পুকুর জলের তল
একটু ছুঁব; হাত বাড়াতেই
করছে টলোমল।
খুঁজতে যাব আম বাগানে
সাঁঝের কিছু আগে
হুতুম পেঁচার সরব ডাকে
ভয় যে মনে জাগে।
ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকটি শুনে
এলাম যখন গহীন বনে
অমন কিসের শব্দ ভাসে
একটু আমায় বল।
কোথায় পাব তোমার সাড়া
সদাই আমায় করছি তাড়া
একটু তো ভাই বল
করিস না আর ছল।
কোথায় থাকিস বল
আমার সাথে অমন করে
করিস না আর ছল।
রোজ তোরে যাই খুঁজতে ঘরে
সারা বাড়ির উঠান জুড়ে
আঁধার ঘরে আলোক জ্বালি
কোথায় পাব বল।
চাঁদনি রাতের ঝাপসা আলোয়
পুকুর জলের তল
একটু ছুঁব; হাত বাড়াতেই
করছে টলোমল।
খুঁজতে যাব আম বাগানে
সাঁঝের কিছু আগে
হুতুম পেঁচার সরব ডাকে
ভয় যে মনে জাগে।
ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকটি শুনে
এলাম যখন গহীন বনে
অমন কিসের শব্দ ভাসে
একটু আমায় বল।
কোথায় পাব তোমার সাড়া
সদাই আমায় করছি তাড়া
একটু তো ভাই বল
করিস না আর ছল।
শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১২
ছড়া-৫
টিক্ টিক্ টিক্ চলছে ঘড়ি
পথের কোথাও হয়না দেড়ি
সঠিক সময় সঠিক কাজ
এমন হলে নেই'ক লাজ।
ঠিক্ ঠিক্ ঠিক্ কথা বলো
চলতে সবার আগে চলো
সবার সাথে মুখের হাসি
উদার মনের দুয়ার খোল।
টিপ্ টিপ্ টিপ্ বৃষ্টি হলে
আকাশ দেখ দৃষ্টি মেলে
আসলে তোমার দুঃখ মনে
পার করিও হেসে খেলে।
ঢং ঢং ঢং ঘন্টা বাজে
মন দিয়ে দাও আপন কাজে
আসলে মনে খানিক ত্রাস
জীবন তোমার সর্বনাশ।
ছড়া-৪
ও কবিতা অমন করে
কবির হাতে এসে
আমি হলাম অবোধ শিশু
আমায় দিলে ফেঁসে।
আসবে যখন সহজ হতে
শুনিয়ে যেতাম পথে পথে
বিদ্যে মশায় ধরলে তবে
আঘাত পেতাম বেতে?
কি সব তোমার অর্থ জানি
অবোধ আমি বুঝলে মানে!
জানলে আমার ভালোই হত
শুনিয়ে যেতাম সবার কানে।
খাতায় খাতায় পদ্য লেখা
নিত্য তোমার অর্থ শেখা
লাগছে না আর ভালো।
ও কবিতা ও কবিতা
আমার পানে একটু তাকা
একটু জ্বালাও আলো।
ছড়া-৩
আব্বু কোথায় হারিয়ে গেল
পালায়নি তো আগে
ও দয়াময় আমায় বলো
আম্মু কেন কাঁদে?
দিন দশেকের বেশিই হলো
কেউ ডাকে না খোকা
ঘুমের ঘোরে কান্না পেলে
আর বলে না বোকা!
আমায় তো আর নদীর ঘাটে
কেউ ডাকে না না'তে
রাত্রি বেলা খাবার ঘরে
কেউ বসে না সাথে।
সারা বাড়ি খুঁজে বেড়াই
আব্বু আমার কৈ
আমার মাকে বললে কেন
আকাশ দেখান ঐ?
ছড়া- ২
আয় জোনাকি আয় জোনাকি
আলোক দিয়ে যা
আমার মায়ের আঁধার ঘরে
একটু ফিরে চা।
এইখানিতে নেই'ক আলো
হরেক বাতি জ্বালা
তাই তো ডাকি অন্ধকারে
করতে খানিক খেলা।
রোজ নিশিতে আসবে তুমি
করবে না'ক ফাঁকি
আমার মায়ের গল্প শোনা
রাখব তবে বাঁকি।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)